কমিটি অব সার্কিট কি
কমিটি অব সার্কিট কি ? ১৭৭২ সালের কমিটি অব সার্কিট সম্পর্কে লিখ।
১৭৭২ সালে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি স্বহস্তে দেওয়ানি শাসন গ্রহণ করে শাসনকার্য সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করে। রাজস্ব প্রশাসন নীতিমালা নির্ধারণের জন্য কোম্পানির গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস ও আরাে চারজন সদস্য নিয়ে "কমিটি অব সার্কিট" নামে একটি অস্থায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এ কমিটি ভূমি বন্দোবস্তু ও দেওয়ানি শাসন পরিচালনার নীতিমালা নির্ধারণে কাজ করে।
কমিটি অব সাকিট কি?
১৭৭২ সালে কোম্পানি সরাসরি দেওয়ানি শাসন গ্রহণ করলেও এর পরিচালনা সংক্রান্ত কোনাে নীতিমালা গৃহীত হয় নি। তাই নীতিমালা নির্ধারণের জন্য গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস ও অপর চারজন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় একটি অস্থায়ী প্রতিষ্ঠান 'কমিটি অব সার্কিট (১৭৭২)। কমিটির দায়িত্ব ছিল পাঁচসালা ভূমি বন্দোবস্ত সম্পন্ন করা এবং দেওয়ানি শাসন পরিচালনার নীতিমালা নির্ধারণ করা। এ কমিটি একটি নীতিমালা তৈরি করে ২০ আগস্ট ১৭৭২, কাউন্সিলের কাছে প্রেরণ করে এবং তা গৃহীত হয় ২৯ আগস্ট, ১৭৭২। কমিটির সুপারিশ মােতাবেক দেশের সমগ্র রাজস্ব এলাকাকে আঠারােটি জেলায় বিভক্ত করে প্রতি জেলায় কালেক্টর নিযুক্ত করা হয়। পূর্বোক্ত 'কন্ট্রোলিং কমিটি অব রেভিনিউ' বিলপ্ত করে রাজস্ব শাসন পরিচালনার জন্য গঠিত হয় একটি "বাের্ড অব রেভিনিউ"। রাজস্ব বিষয়ে বোর্ড ও কালেক্টরকে সাহায্য করার জন্য যথাক্রমে মুৎসুদ্দি ও দেওয়ান নামের দু'জন দেশি কর্মচারী নিয়ােগ করা হয়। কালেক্টরের দুর্নীতির বিপক্ষে হিসাব-নিকাশের ব্যাপারে দেওয়ানকে অনেক ক্ষমতা দেওয়া হয়। সমগ্র দেওয়ানি শাসনের হিসাব রাখার জন্য নিযুক্ত হয় একজন একাউন্টেন্ট জেনারেল। কমিটি অব সার্কিটের পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু হলে ১৭৭৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এ কমিটি বিলুপ্ত হয়।
পরিশেষে বলা যায় যে, রাজস্ব শাসন নীতিমালা নির্ধারণে ১৭৭২ সালে গঠিত 'কমিটি অব সার্কিট' নিঃসন্দেহে কোম্পানির একটি সুচিন্তিত পদক্ষেপ।এ কমিটি উপমহাদেশে রাজস্ব শাসন সংক্রান্ত যে রূপরেখা প্রণয়ন করে তা কোম্পানির দেওয়ানি শাসনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।