বাংলায় ইংরেজ ইস্ট ইন্ডয়া কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারের ইতিহাস আলোচনা কর।
বাংলায় ইংরেজ ইস্ট ইন্ডয়া কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারের ইতিহাস আলোচনা কর।
বাংলায় ইংরেজ ইস্ট ইন্ডয়া কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। মধ্যযুগে ইউরোপে শাসক ও শােষিত শ্রেণীর মাঝখানে অবস্থিত মধ্যবিত্ত বা বণিক শ্রেণীর মধ্যে গড়ে উঠা মনোবিপ্লবের ফলে ইউরোপে যে রেনেসাঁর জন্ম হয় তার পরিপ্রক্ষিতেই ইউরোপীয়রা বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপথে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বের হয়। এ সময় বাংলা তথা ভারতবর্ষের ধনৈশ্বর্যের কথা তাদের অজানা ছিল না। তাই পনেরা শতকের শেষার্ধে পর্তুগিজরা সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে আগমন করে। পর্তুগিজদের অনুসরণ করে ষোলো শতকে ওলন্দাজ,ফরাসি ও ইংরেজরা এখানে আগযন করে। শেষােক্ত জাতিটি বাংলায় রাজনীতি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ করেহিল। এক পর্যায়ে ইংরেজরা বাংলা তথা ভারতবর্ষের ক্ষমতা দখল করতে সমর্থ হয়েছিল । তারাই সর্বেচ্চ ১৯৪ ৭ সাল পর্যন্ত এদেশ শাসন করেছিল।
ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলায় আধিপত্য বিস্তারের ইতিহাস
নিম্নে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলায় আধিপত্য বিস্তারের ইতিহাস আলোচনা করা হলো :
১. ইংরেজদের ভারতবর্ষে আগমন
১৫৮০ সালে ইংরেজ নাবিক ফ্রান্সিস ড্রেকের সমুদ্রপথে পৃথিবী প্রদক্ষিণ, ইংরেজ নৌবহর কর্তৃক স্প্যানিশ আরমান্ডার পরাজয় ও পর্তুগিজ এবং ডাচদের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে ইংরেজরা সমুদ্র বাণিজ্যে বের হয় ১৫৯১-১৫৯৩ সালের মধ্যে জেমস ল্যাংকাস্টার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পেনাং আগমন করেন। ১৫১৯ সালে জনমেনডনহল স্থলপথে লন্ডন পথে ভারতবর্ষে আগমন করেন এবং ৭ বছর অবস্থান করেন। তিনি রানি এলিজাবেথের একটি অনুমতি পত্র মুঘল সম্রাট আকবরের নিকট পেশ করেছিলেন।
২. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠন
ইংল্যান্ডের রানি এলিজাবেথ ১৬০০ সালে সকল ব্যক্তিগত বণিকদের একত্রিত করে British East India Company গঠন করেন। কোম্পানি ১২ বছরের জন্য ভারতবর্ষে ব্যবসা-বানিজ্য করার জন্য একটি সনদ লাভ করেন।
৩. ইংরেজদের বাংলায় প্রবেশের চেষ্টা (১৬০০-১৬৩২)
১৬৩২ সাল পর্যন্ত ইংরেজরা বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য করার ব্যাপারে বিশেষ সুবিধা করতে পারে নি। এ সময় তারা বিভিন্নভাবে বাংলায় প্রবেশের চেষ্টা করে। যেমন
(ক) টমাস রাে এর প্রচেষ্টা
১৬১৫ সালে ব্রিটেনের রাজা প্রথম জেমসের দূত হিসেবে স্যার টমাস রো মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে এসে ১৬১৮ সাল পর্যন্ত অবস্থান করেন। ১৬১৬ সালে তিনি বাংলার সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্য স্থাপনের জন্য সুরাটে ইংরেজ কর্তৃপক্ষকে চাপ দেন। পর্তুগিজ ও ডাচদের বিরোধিতা এবং ভারতীয় দস্যুদের ভয়ে টমাস রাে-এর এ প্রচেষ্টা কার্যকরী হয় নি। অতঃপর টমাস রো ১৬১৭ সালে বাংলাদেশে বাণিজ্য করার জন্য মুঘল দরবার থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি সংগ্রহের চেষ্টা করেন । এর উদ্দেশ্য ছিল ডাচ ও পর্তুগিজ বৈধভাবে মােকাবিলা করা। কিন্তুর টমাস রাে এক্ষত্রে ব্যর্থ হন।
(খ) হিউগেস ও পার্কার প্রচেষ্টা
১৬১৮ সালে টমস রাে দেশে ফিরে গেলে কোম্পানি বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য হিউগেস ও পার্কার নামক দুজন কর্মচারীকে বিহারের পাটনায় প্রেরণ করে। পাটনায় বাংলার কাঁচা সিল্কের আমদানি লক্ষ্য করে কর্মচারীদ্বয় বাংলায় বাণিজ্যে বিপুল সম্ভাবনা আবিষ্কার করেন। কিন্তু পাটনা থেকে আগ্রায় বাংলার কাঁচা সিল্ক রপ্তানি করা ব্যয়বহুল হওয়ায় কোম্পানি বাংলাতে কুঠি স্থাপনের তীব্র প্রয়োজন অনুভব করে।
(গ) সম্রাটের অনুমতি লাভ
১৬২৩ সালে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বাংলাদেশে ও মুঘল সাম্রাজ্যের সর্বত্র বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার অধিকার প্রদান করলেও তাদেরকে আরাে ২৭ বছর এটি বাস্তবায়নের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এর কারণ রাজনতিক গােলযােগ।
৪. সুবাদার শাহ সুজার ফরমান লাভ
১৬৫০ সালে ইংরেজরা বাংলার সুবাদার শাহ সুজার নিকট থেকে বাংলায় বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার জন্য একটি ফরমান লাভ করে। এ ফরমানে সুজা তাদেরকে বালেশ্বর, হুগলি ও পিপলাই-এ বাণিজ্য কুঠি নির্মাণের অনুমতি দেন। ফরমান অনুযায়ী ইংরেজরা সুবাদার সুজাকে বার্ষিক ৩০০০ টাকা প্রদানে সম্মত হয়।
৫. সুবাদার মীরজুমলার দস্তক মঞ্জুর
সুবাদার মীরজুমলার (১৬৬০-৬৩) সাথে প্রথমে ইংরেজদের বিরােধ দেখা দিলেও পরে ১৬৬০ সালে উভয়ের মধ্য সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। ১৬৬০ সালে মীরজুমলা ইংরেজদেরকে সম্রাট শাহজাহান ও সুবাদার শাহ জুলার আমলে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য যে সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল তা বহাল রেখে একটি পরওয়ানা বা দস্তক মঞ্জুর করেন।
৬. সুবাদার শায়েস্তা খানের ফরমান লাভ
সুবাদার শায়েস্তা খান ১৬৭২ সালে বাংলায় বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার জন্য ইংরেজদের একটি ফরমান প্রদান করেন। ফলে হরিরামপুর, পাটনা ও কাসিমবাজারে ইংরেজদের বানিজ্য কুটি গড়ে উঠে।
৭. সম্রাট আওরঙ্গজেবের ফরমান লাভ
১৬৮০ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেব একটি ফরমান দ্বারা ইংরেজ কোম্পানিকে বাংলাসহ সমগ্র মুঘল সাম্রাজ্যে অবাধ বাণিজ্য করার জন্য একাটি ফরমান প্রদান করেন। এ জন্য ইংরেজদের মুঘল সরকারকে পণ্যদ্রব্যাদির উপর শতকরা দুটাকা এবং জিজিয়া বা নিরাপত্তামূলক কর হিসেবে দেড় টাকা দিত হতাে।
৮. শায়েস্তা খানের সাথে ইংরেজদের সংঘর্ষ
সুবাদার শায়েস্তা খান এবং সম্রাট আওরঙ্গজে ইংরেজদেরকে বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার অনুমতি প্রদান করলেও বাংলার স্থানীয় কর্মচারীগণ ইংরেজ বণিকদের নিকট থেকে অতিরিক্ত কর অদায় করতো এবং অনেক সময় পণ্যদ্রব্যাদি বাজেয়াপ্ত করতো। ইংরেজ বাণিজ্য কুঠির প্রধান উইলিয়াম হেজ ও শায়েস্তা খানের মধ্যে এ ব্যাপারে আলাপ-আলোচনায় কোনো ফল না হওয়ায় ইংরেজরা সুবাদারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা করে। হুগলির মুঘল শাসনকর্তা ১৬৮৬ সালের অক্টোবর মাসে ইংরেজদের কুঠি অক্রমণ করলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। চার বছর স্থায়ী এ যুদ্ধে ইংরেজরা পরাজিত ও বাংলা হতে বিতাড়িত হয়। অবশেষে ১৭৯০ সালে ইংরেজ ও সুবাদারের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হয়। সুবাদার ইব্রাহিম খান (১৬৮৯-১৬৯৮) ইংরেজদের পূর্বের মতো বাণিজ্য করার অনুমতি প্রদান করেন।
৯. কোম্পানির জমিদারি লাভ
১৬৯১ সালে বাংলার সুবাদার ইব্রাহিম খান একটি হাসিব-উল-হুকুম' বা রাজকীয় ফরমান জারি করে বলেন যে, বার্ষিক তিন হাজার টাকার বিনিময়ে ইংরেজরা বাংলায় বিনাশুল্কে বাণিজ্য করতে পারবে। ১৬৯৮ সালে কোম্পানি বার্ষিক ১২,০০০ টাকায় সুতানটি, কলকাতা ও গোবিন্দপুর-এ তিনটি গ্রামের ইজারা নেয়।
১০. ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নির্মাণ
ইজারা বা জমিদারি লাভের পর ১৬৯৯ সালে কোম্পানি কলকাতায় একাট দুর্গ নির্মাণ করে। ইংল্যান্ডের রাজার নামানুসারে এর নাম রাখা হয় ফোট উইলিয়াম। মুঘল সম্রাট এবং বাংলার সুবাদার শাহজাদা আজিমউদ্দিন বুঝতেই পারেন নি। এ দুর্গ নির্মাণ ছিল ভারতবর্ষ দখলের এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
১১. বাংলায় স্বতন্ত্র প্রেসিডেন্সি প্রতিষ্ঠা
দুর্গ নির্মাণের পর ১৭০০ সালে মাদ্রাজ থেকে পৃথকভাবে বাংলাকে একটি প্রেসিডেন্সিতে পরিণত করা হয়।
১২. মুর্শিদকুলী খান ও ইংরেজ কোম্পানি
১৭০০ সালে মুর্শিদকুলী খান বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত হন। তিনি ইংরেজদের একচেটিয়া বাণিজ্য সহ্য করতে পারেন নি। তাই তিনি অপরাপর বণিকদের মতো ইংরেজ বণিকদেরকেও নির্ধারিত বাণিজ্য শুল্ক দিতে আদেশ দেন। মুর্শিদকুলী খানকে কিছুতেই সন্তুষ্ট করতে না পেরে ইংরেজরা মুঘল আমলে সম্রাট ফররুখ শিয়ারের দ্বারস্থ হন।
১৩. ফররুখ শিয়ারের ফরমান
পরিকল্পনা মােতাবেক ইংরেজ কোম্পানি সুরমান, এডওয়ার্ড স্টিফেনসন ও উইলিয়াম হ্যামিলটন নামক এক চিকিৎসককে ফররুখ শিয়ারের দরবারে প্রেরণ করেন। ঘটনাক্রমে এ সময় ফররুখ শিয়ার অসুস্থ ছিলেন। ডাক্তার হ্যামিলটন তাকে সুস্থ করে তোলেন। এতে সম্রাট সন্তষ্ট হয়ে ১৭১৭ সালে ইংরেজ কোাম্পানির পক্ষে একটি ফরমান জারি করেন। এ ফরমানে বলা হয় যে,
- (ক) কোম্পানি বার্ষিক ৩০০০ টাকার বিনিময়ে বাংলায় বিনাশুল্কে বাণিজ্য করতে পারবে।
- (খ) কোম্পানির মালামাল চুরি গেলে সরকার তা উদ্ধারে সচেষ্ট থাকবে এবং অপহরণকারীকে শাস্তি দিবে।
- (গ) ইতিপূর্বে ক্রয়কৃত সবগুলো শহর কোম্পানির অধীনে থাকবে।
- (ঘ) মুর্শিদাবাদ টাকশালে কোম্পানি তার নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করবে।
- (ঙ) মাদ্রাজ ও সুরাটের রৌপ্যমুদ্রার মান সমান হলে তা বিনা বাট্রায় বাংলায় চালানো যাবে।
- (চ) কোম্পানি নৌকা বা জাহাজ কোনো রকম অজুহাতে আটক করা যাবে না।
- (ছ) সকল ইউরোপীয় ও দেশি ব্যক্তি যারা কোম্পানির কাছে ঋণী তারা তা পরিশোধ করবে।
- (জ) সুবার দেওয়ানের অনুমতি সাপেক্ষে কোম্পানিকে মালিকের কাছ থেকে খরিদকৃত শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকা
- ইজারা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো।
১৪. ফররুখ শিয়ারের ফরমানের গুরুত্ব
সম্রাট ফররুখ শিয়ারের ফরমান বঙ্গে ইংরেজ বাণিজ্যের Magna Charta' বা মহাসনদ' হিসেবে পরিগণিত হয়। CR. Willson একে ইংরেজদের প্রকৃত কুটনৈতিক বিজয় বলে অভিহিত করেছেন। কাউন্সিল অত্যন্ত মর্যাদার সাথে এ ফরমান গ্রহণ করে।
১৫. নবাবদের বিরোধিতা
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সম্রাট ফররুখ শিয়ারের নিকট থেকে যে সকল সুযােগ-সুবিধা পেয়েছিল বাংলার সুবাদার মুর্শিদকুলী (১৭১৩-১৭২৭), সুবাদার সুজাউদ্দিন (১৭২৭-১৭৩৯) এবং নবাব আলীবর্দী খান (১৭৪০-১৭৫৬) তা কার্যকর করতে অস্বীকৃতি জানান। ইংরেজরা কলকাতায় দুর্গ নির্মাণ করতে উদ্যত হলে নবাব আলীবর্দী তাদের বাধা দেন। মূলত আলীবর্দী খান বাংলার শেষ নবাব যিনি ইংরেজদের সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন।
১৬. পলাশির যুদ্ধে ইংরেজদের জয়লাভ
১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দীর মৃত্যর পর তার দৌহিত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার মসনদে আরােহণ করেন। ধূর্ত ইংরেজরা তরুণ নবাবকে অবহেলা করে দুর্গ নির্মাণ করা শুরু করে এবং বাণিজ্য শুল্ক প্রদান বন্ধ করে দেয়। ফলে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন নবাবের সাথে কোম্পানির পলাশির প্রান্তরে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয় তাতে ইংরেজরা জয়লাভ করে। ফলে বাংলার অর্থনীতি ও রাজনীতি ইংরেজদের হাতে চলে যায়। ঐতিহাসিক R.C. Majumder বলেন, এর (পলাশির যুদ্ধের) ফলে ইংরেজগণের বাংলা বিজয় এবং ঘটনা পরম্পরায় ভারত বিজয়ের পথ প্রশস্ত হয়ে যায় [It (the Battle of Plassey) paved the way for British conguest for Bengal and eventually the whole of India.]
১৭. কোম্পানির জমিদারি লাভ
চুক্তি মােতাবেক মীর জাফর বাংলার মসনদে বসে বর্ধমান, নদীয়া, হুগলি প্রভৃতি পরগনার জমিদারি ইংরেজ কোম্পানিকে ছেড়ে দেন।
১৮. কোম্পানির দেওয়ানি লাভ
১৭৬৪ সালে ইংরেজরা বক্সারের যুদ্ধে স্বাধীনচেতা নবাব মীর কাসিমকে পরাজিত করে। ফলে বাংলা তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সার্বভৌম ক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চল যায়। কোম্পানি মুঘল সম্রাটের নিকট থেকে বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে। ঐতিহাসিক Dodwell বলেন, "In short the grant of the Diwani was designed to secure the full control of Bengal affairs so far as the Companys interest went without incurring the inconvenience of formal and avored dominion." [The Cambridge History of India, Page - 177]
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে ইংরেজরা বাংলা তথা ভারতবর্ষের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে, যা নিরবচ্ছিন্নভাবে ১৯৪৭ সালে ভারত ত্যাগ করা পর্যন্ত চলে। একেই বলে সাম্রাজ্যবাদী শাসনের ক্ষোত্রে ইংরেজ প্রতিভা